বিবরণ:-অল্পবয়স্ক আকবর পাঞ্জাবের প্রশাসক ছিলেন এবং তার অভিভাবক ছিলেন হুমায়ুনের বন্ধু বৈরাম খান। তিনি আকবরের শাসনব্যবস্থা দেখাশোনা করতেন। শেরশাহ কতৃক তাড়িত হয়ে হুমায়ুন যখন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তখন ১৫৪২ খ্রষ্টাব্দে অমরকোটে আকবরের জন্ম হয়। আকবরকে ১৩ বছর বয়সে দিল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বৈরাম খান তাকে সম্রাট বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু এই অবস্থায় ক্ষমতাচ্যুত সুরী শাসক মহম্মদ আদীল শাহ তার হিন্দু সেনাপতি “হিমুকে” দিল্লী অধিকার করার জন্য পাঠান। হিমু দিল্লী দখল করলেন এবং নিজেকে “বিক্রমজিত” নামে দিল্লীর রাজা রূপে ঘোষণা করলেন। এই অবস্থায় বৈরাম খান বা আকবর পরিচালিত মুঘল বাহিনী ১৫৫৬ খ্রীষ্টাব্দে হিমুর বিরূদ্ধে দ্বিতীয় পাণিপথের (পাঞ্জাব অঞ্চলে) যুদ্ধ করলেন এবং হিমু হেরে গেলেন। আকবর বৈরাম খানের অধীনে থেকে দিল্লীতে মুঘল শাসন শুরু করলেন।

বিবরণ:-জাহাঙ্গীর আকবরের মৃত্যুর পর ১৬০৫ খ্রীষ্টাব্দে ক্ষমতায় আসেন এবং ১৬২৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ২২ বছর অর্থাৎ প্রায় ২০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি আকবরের সবচেয়ে বড় ছেলে ছিলেন এবং তিনি সেলিম নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সম্রাট হিসাবে “নুরুদ্দিন মহম্মদ জাহাংগীর গাজী’ উপাধি নিয়েছিলেন।

বিবরণ:-শাহজাহানের চারটি ছেলের মধ্যে তৃতীয় ছেলে আওরঙ্গজেব শাহজাহানের অসুস্থতার সুযোগে তাকে বাড়ীতে আটক করে রেখেছিলেন এবং তিনি অন্যান্য ভাইদের হত্যা করে ১৬৫৮ থেকে ১৭০৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৫০ বছর রাজত্ব করেছিলেন। শাহজাহানের চারটি ছেলের নাম হল ১) দারা ২) সুজা ৩) আওরঙ্গজেব ৪) মুরাদ। সবচেয়ে বড় ছেলে দারা শাহজানের খুব প্রিয় ছিলেন এবং তিনি রাজত্ব পাবার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু অন্যান্য ভাইদেরও রাজত্ব পাওয়ার ইচ্ছা ছিল।

বিবরণ:-মুয়াজ্জেম বাহাদুর শাহ নাম নিয়ে সিংহাসনে আরোহন করলেন। তবে তিনি প্রশাসনের কাজকমে অনুপস্থিত থাকতেন এবং তিনি জন প্রিয়ভাবে শাহ -ই - বেখবর নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি কোথায় থাকতেন সেটা অধিকারিকগনেরও জানা থাকতো না।

বিবরণ:-তাজ কররাণী বাংলায় ১৫৬৪ খ্রীষ্টাব্দে সুরী বংশের শাসনের পরে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ১৫৭৬ খ্রীষ্টাব্দে মুঘল সেনাবাহিনী দাউদ কররাণীকে রাজমহলের যুদ্ধে হারিয়েছিলেন।

বিবরণ:-সুজা বাংলায় ছিলেন। মুরাদ গুজরাটে ছিলেন। আওরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যে ছিলেন। দারা তার বাবার পাশে তৎকালীন রাজধানী আগ্রাতে ছিলেন।

বিবরণ:-নিজাম বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হায়দ্রাবাদে স্বাধীন রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। নিজাম বংশ হায়দ্রাবাদে ‘চারমিনার’ গেট তৈরী করেছিলেন।

বিবরণ:-প্রথম পানিপথের যুদ্ধ সংঘটিত হয় 1526 খ্রিস্টাব্দের 21 শে এপ্রিল লোদী রাজবংশের শেষ সুলতান ইব্রাহিম লোদীর সাথে বাবরের।এই যুদ্ধে বাবার জয়লাভ করেন এবং ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথ গ্রামের নিকটে 1526 খ্রিস্টাব্দের 21 এপ্রিল এই যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। বাবরের সেনাবাহিনীতে 12000 সৈনিক এবং 20 থেকে 24 টি ফিল্ড আর্টিলারি ছিল। ইব্রাহিম লোদীর বাহিনীতে লোক সংখ্যা ছিল 100000(এক লক্ষ) এবং 1 (এক) হাজার হস্তী বাহিনী ছিল। বাবরই প্রথম এই যুদ্ধে কামানের ব্যবহার করেন। এই যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীর পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে লোদী বংশের অবসান হয়)।

বিবরণ:-ফরগনা (উজবেকিস্তান) হলো মধ্য এশিয়ার রুশ-তুরস্কের মধ্যবর্তী স্থান। 1483 খ্রিস্টাব্দের 14 ই ফেব্রুয়ারি বাবর জন্মগ্রহণ করেন।